বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার ভৌগোলিক সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে আজ
বাঙালিরা। অন্য সব ডায়াস্পোরার মত দেশান্তরী বাঙালিও তার নিজস্ব সংস্কৃতি  ধরে রেখেছে
বিদেশ-বিভুঁইয়ে, কখনো বা প্রজন্মান্তরে। বিদেশে বসেই বাংলা সাহিত্যের চর্চা শুরু করেছেন
কিংবা সাহিত্যিক জীবনের কোন এক ক্ষণে প্রবাসী হয়েছেন এমন বাঙালি লেখক-সাহিত্যিকের
সংখ্যা আজ আর নগণ্য নয়। যেটি এ মূহুর্তে প্রয়োজন তা হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে
থাকা বাংলাভাষী লেখক, সাহিত্যিক, সাহিত্যামোদী সকলের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের
সুযোগ সৃষ্টি এবং পরস্পরের চিন্তা-চেতনা-চর্চার আদান প্রদান। এতে করে বাংলা সাহিত্যের
ভাণ্ডার ঋদ্ধ কতটুকু হবে সেটি অনুমানসাপেক্ষ হলেও একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়
ডায়াস্পোরার লেখকদের সাহিত্যচর্চার পরিবেশকে নি:সন্দেহে সমৃদ্ধ করবে এ ধরনের
উদ্যোগ।।
 
দেশান্তরী বাঙালি লেখকদের জন্য একটি প্ল্যাট্ফর্ম তৈরীর এই চিন্তা থেকেই দুহাজার
আঠারোর হেমন্তে গঠিত হয়েছে উত্তর আমেরিকা বাংলা সাহিত্য পরিষদ। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধিত এই সংগঠন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন
রাজ্য ও প্রদেশের বাঙালি লেখক ও সাহিত্যামোদীদের নিয়ে গঠিত। লেখক ও সাহিত্যামোদীদের
এই দলটিকে এক মঞ্চে সমবেত করার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন কলোরাডো নিবাসী
সাহিত্যিক দম্পতি ডঃ জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও ডঃ পূরবী বসু।

এই পরিষদের প্রথম বড় উদ্যোগ বহির্বিশ্বে বসবাস করা বাঙ্গালী সাহিত্যিক আর
সাহিত্যানুরাগীদের নিয়ে একটি বড় সাহিত্য সমাবেশের আয়োজন। উল্লেখ্য বহির্বিশ্বে এধরনের
সাহিত্য সমাবেশ এই প্রথম। সমাবেশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে মার্কিন লেবার ডে-র লম্বা
সপ্তাহান্তে, (দু’হাজার ঊনিশের ৩১ আগস্ট আর ১ সেপ্টেম্বরে)। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া
অঙ্গরাজ্যের আটলাণ্টা শহরে এই সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবে।